আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষদিন আজ মঙ্গলবার। এদিনেও টিকিট পেতে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে অতিরিক্ত ভিড় ও ভ্যাপসা গরমে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি চরমে।
সরেজমিনে টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই সোমবার থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে আবার লাইনে দাঁড়িয়েছেন রোববার থেকে। প্রত্যেকেই শেষ দিনে টিকিট পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তারা।
গত রোববার বিকেলে লাইনে দাঁড়ালেও টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকিট কাটতে পারেননি বলে জানান বনশ্রী থেকে আসা জুনায়েদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সামনে আটজন রয়েছে আজকে টিকিট পাবো আশা করি। বাসে গেলে অনেক খরচ হয়। ট্রেনে অনেক কম খরচেই বাড়ি যেতে পারি।
সোমবার এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান শিপন শেখ নামের আরেকজন। তিনি বলেন, গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য বাসে কোনো টিকিট পাইনি। ট্রেনের টিকিট কাটতে আসলাম অনেকটা বাধ্য হয়েই।
আশুলিয়া থেকে আসা আবু সুফিয়ান সোহাগ বলেন, ‘৭ ও ৮ তারিখ বাসের কোনো টিকিট নেই। লোকাল বাসে পরিবার নিয়ে যাওয়া খুব কষ্টের, তাই ট্রেনের টিকিটের জন্য অনলাইনে বহুবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কাটতে পারিনি। বাধ্য হয়েই আশুলিয়া থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।’
একতা এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে আসা আতিক ফয়সাল নামের একজন বলেন, ‘ঈদে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাবো। পরিবারের অনেকে বাসে যেতে পারে না বলেই ট্রেনের টিকিট নিতে আসলাম। কিন্তু রোববার লাইনে দাঁড়িয়েও সোমবারও টিকিট পাইনি। তাই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। আশা করি, আজকে টিকিট পাবো।’
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই শুরু হয় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। সেদিন দেওয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট। এরপর ২ জুলাই দেওয়া হয় ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেওয়া হয় ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হয় ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং আজ ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এ ছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওইদিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।